Skip to main content

Pension Scheme advantages – পেনশন স্কিমে বিনিয়োগের ৭টি সুফল

2025-এর সেরা পেনশন স্কিম: ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য সঠিক পছন্দ করুন

2025-এর সেরা পেনশন স্কিম: ভবিষ্যৎ সুরক্ষার জন্য সঠিক পছন্দ করুন

আপনার অবসরের পর জীবনের জন্য একটি নিশ্চিত আয়ের উৎস প্রয়োজন—আর তার জন্য সবচেয়ে কার্যকর সমাধান হচ্ছে একটি শক্তিশালী পেনশন স্কিম। এই পোস্টে আমরা আলোচনা করবো ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং লাভজনক পেনশন স্কিমগুলি নিয়ে যা ২০২৫ সালে সবচেয়ে বেশি গুগলে খোঁজা হচ্ছে।

পেনশন স্কিম কী?

পেনশন স্কিম হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী বিনিয়োগ পদ্ধতি, যেখানে একজন ব্যক্তি চাকরিজীবন চলাকালীন নির্দিষ্ট অঙ্কের অর্থ জমা রাখেন, যা পরবর্তীতে অবসরের পর নিয়মিত মাসিক আয়ের উৎস হয়ে ওঠে। এটি কেবল আর্থিক নিরাপত্তাই দেয় না, বরং মানসিক শান্তিও নিশ্চিত করে।

১. National Pension System (NPS)

কেন সবচেয়ে জনপ্রিয়? এটি গুগলে সবচেয়ে বেশি সার্চ হওয়া পেনশন স্কিমগুলোর মধ্যে একটি। কারণ NPS একটি সরকারি সমর্থিত স্কিম যেখানে আপনি Equity এবং Debt দুই ধরনে বিনিয়োগ করতে পারেন।

NPS-এর অধীনে আপনি ৮০সি এবং ৮০সিসিডি(১বি) এর মাধ্যমে সর্বমোট ₹২ লক্ষ পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। ৬০ বছর বয়সে অবসর গ্রহণের সময় আপনি একটি বড় অঙ্কের লাম সাম পেমেন্ট পাবেন এবং অবশিষ্ট অর্থ দিয়ে আপনি একটি অ্যানুইটি কিনে যাবতীয় পেনশন পেতে পারেন।

২. Atal Pension Yojana (APY)

এই স্কিমটি নিম্ন ও মধ্যবিত্ত শ্রেণির জন্য একটি বিশেষ পেনশন সুবিধা যা মাসিক ₹৫,০০০ পর্যন্ত পেনশন সুবিধা দিয়ে থাকে। এর সবথেকে বড় সুবিধা হলো এটি মাত্র ₹৪২ মাসিক জমা দিয়েও শুরু করা যায়। এটি বিশেষ করে যারা অ-সংগঠিত ক্ষেত্রে কাজ করেন তাদের জন্য উপযোগী।

৩. Unified Pension Scheme 2025

২০২৫ সালের ১ এপ্রিল থেকে চালু হওয়া এই স্কিমটি সরকারি কর্মীদের জন্য। এটি মূল বেতনের ৫০% নিশ্চিত পেনশন নিশ্চিত করে যা কর্মীদের ভবিষ্যতের জন্য একটি স্থায়ী সহায়তা। এই স্কিমটি ইতিমধ্যেই গুগলে সার্চ ট্রেন্ডে শীর্ষে রয়েছে।

৪. LIC Pension Plans: জীবন অক্ষয় VII ও নিউ জীবন শান্তি

LIC-এর এই প্ল্যানগুলো সুরক্ষিত বিনিয়োগের জন্য খুব জনপ্রিয়। জীবন অক্ষয়-VII একটি সিঙ্গেল প্রিমিয়াম স্কিম যেখানে অবসর নেওয়ার পর থেকে আজীবন মাসিক পেনশন পাওয়া যায়।

পেনশন স্কিম বেছে নেওয়ার সময় কী বিবেচনায় রাখবেন?

  • আপনার বয়স ও অবসরের সময়কাল
  • বিনিয়োগের ক্ষমতা ও রিস্ক নেওয়ার মানসিকতা
  • ট্যাক্স বেনিফিট ও রিটার্ন
  • লাইফ কভার ও অ্যাড অন সুবিধা

প্রশ্নোত্তর বিভাগ (Q&A Section)

প্রশ্ন ১: পেনশন স্কিম কী এবং কেন এটা গুরুত্বপূর্ণ?

পেনশন স্কিম হলো একটি দীর্ঘমেয়াদী আর্থিক নিরাপত্তা পরিকল্পনা, যেখানে একজন ব্যক্তি চাকরি জীবনের সময় নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা জমা রাখেন, যা অবসরের পর নিয়মিত মাসিক আয় হিসেবে ফেরত পাওয়া যায়। এটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ বয়স বাড়ার সাথে সাথে আয় বন্ধ হয়ে যায়, কিন্তু খরচ ঠিকই থাকে। পেনশন স্কিম ভবিষ্যৎ জীবনে আর্থিক নির্ভরতা এনে দেয় এবং নিজের জীবনযাপন স্বাধীনভাবে চালিয়ে যেতে সাহায্য করে।

প্রশ্ন ২: কোন ধরনের পেনশন স্কিম বর্তমানে জনপ্রিয়?

বর্তমানে ভারতের মতো দেশে বেশ কয়েকটি জনপ্রিয় পেনশন স্কিম রয়েছে, যেমনঃ NPS (National Pension System), Atal Pension Yojana, এবং প্রাইভেট সেক্টরের রেটায়ারমেন্ট প্ল্যান। NPS-এর মাধ্যমে 60 বছর বয়সে একটি লাম্প সাম এমাউন্ট ও বাকি টাকা দিয়ে মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। Atal Pension Yojana-তে নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত টাকা জমিয়ে 1,000 থেকে 5,000 টাকা পর্যন্ত মাসিক পেনশন পাওয়া যায়। এগুলো সরকার দ্বারা স্বীকৃত ও কর সুবিধা প্রাপ্ত।

প্রশ্ন ৩: পেনশন স্কিমে বিনিয়োগ করলে কি ট্যাক্স ছাড় পাওয়া যায়?

হ্যাঁ, প্রথমত, আয়কর আইনের ধারা 80C অনুযায়ী, আপনি বছরে সর্বোচ্চ ₹1.5 লক্ষ টাকা পর্যন্ত কর ছাড় পেতে পারেন। এর বাইরে অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে রয়েছে 80CCD(1B) ধারা, যার মাধ্যমে আরও ₹50,000 টাকা পর্যন্ত অতিরিক্ত করছাড় পাওয়া যায়। অর্থাৎ, মোট মিলিয়ে NPS-এ বিনিয়োগ করে আপনি ₹2 লক্ষ টাকা পর্যন্ত আয়করে ছাড় উপভোগ করতে পারেন। । অর্থাৎ পেনশন স্কিম শুধু অবসরের আয় নিশ্চিত করে না, বরং তা বর্তমানেও কর সাশ্রয়ে সাহায্য করে। এটি ট্যাক্স বাঁচানোর পাশাপাশি ভবিষ্যৎ নিরাপত্তার একটি চমৎকার মাধ্যম।

আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নোত্তর

প্রশ্ন ৪: কোন বয়সে পেনশন স্কিমে যোগ দেওয়া উত্তম?

পেনশন স্কিমে যত আগে শুরু করা যায়, তত বেশি লাভজনক। সাধারণভাবে ২০-৩০ বছর বয়সের মধ্যে যদি কেউ স্কিমে অবদান রাখতে শুরু করে, তাহলে দীর্ঘমেয়াদে সুদের ফলে বড় অঙ্কের রিটার্ন পাওয়া যায়। কম বয়সে শুরু করলে মাসিক অবদানও তুলনামূলকভাবে কম হয় এবং ভবিষ্যতে নিরবচ্ছিন্ন একটি আয়ের উৎস তৈরি হয়। এটি ফাইনান্সিয়াল ডিসিপ্লিন গঠনে সাহায্য করে এবং অবসরের সময় কোনো ঝুঁকি ছাড়াই স্বাচ্ছন্দ্যে জীবনযাপন করা সম্ভব হয়।

প্রশ্ন ৫: পেনশন স্কিম বাদ দিলে ভবিষ্যতে কী সমস্যা হতে পারে?

পেনশন স্কিম বাদ দিলে একজন ব্যক্তিকে অবসরের পর আয়বিহীন অবস্থায় জীবনযাপন করতে হতে পারে। চিকিৎসা খরচ, দৈনন্দিন খরচ, এবং জরুরি পরিস্থিতিতে অর্থের অভাব দেখা দিতে পারে। এছাড়া ভবিষ্যতে পরিবারের উপর নির্ভরশীলতা বাড়ে, যা মানসিক চাপ ও সামাজিক সমস্যার কারণ হতে পারে। তাই পেনশন স্কিম শুধু আর্থিক সুরক্ষাই দেয় না, মানসিক শান্তিও নিশ্চিত করে। বর্তমান আয়ে কিছুটা বাঁচিয়ে ভবিষ্যতের জন্য বিনিয়োগ করাই বুদ্ধিমানের কাজ।

প্রশ্ন ৬: পেনশন স্কিম ও মিউচুয়াল ফান্ডে পার্থক্য কী?

পেনশন স্কিম মূলত অবসরের পর মাসিক আয় নিশ্চিত করার পরিকল্পনা, যেখানে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অবদান রাখতে হয়। এটি তুলনামূলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ এবং অনেক ক্ষেত্রেই সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। অন্যদিকে মিউচুয়াল ফান্ড হল শেয়ার বাজারের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি বিনিয়োগ মাধ্যম, যেখানে উচ্চ রিটার্নের সম্ভাবনা থাকলেও ঝুঁকির মাত্রাও বেশি। মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ দ্রুত লাভ এনে দিতে পারে, কিন্তু পেনশন স্কিম দীর্ঘমেয়াদে স্থিতিশীলতা ও নিয়মিত আয় দেয়।

আরো পড়ুন:

শেষ কথা

সঠিক সময়ে সঠিক পেনশন স্কিম বেছে নেওয়া আপনার ভবিষ্যৎ নির্ভরতাকে শক্তিশালী করে তুলবে। ২০২৫ সালে পেনশন স্কিমগুলো নিয়ে মানুষের আগ্রহ বেড়েছে এবং আপনি চাইলে আজই শুরু করতে পারেন।

আপনার মতামত জানান

এই পোষ্টটি সম্পর্কে আপনার মতামত জানাতে নিচে কমেন্ট করুন। আপনি কোন পেনশন স্কিম পছন্দ করছেন?

Comments